পঞ্চায়েতে নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি। মঙ্গলবারের এই ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিন মহারথীকেই একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায়।
বিজেপির পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে মোট ৯টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার গ্রাম বাংলার দখল নেওয়ার লড়াইয়ে নামছেন দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্তরা। প্রথম ইস্যু, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন। দ্বিতীয় ইস্যু, কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইস্যু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, সুশাসন ও সর্বোপরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির সংকল্পপত্রে।
এর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির মুখপত্র ‘কমল বার্তা’ আবার নব কলেবরে সামনে এল এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে। এরই পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি ইস্তেহার ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করা হল রাজ্য বিজেপির তরফে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পঞ্চায়েতের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব যে এককাট্টা, এদিন সেই বার্তাও দেওয়া গেল মঙ্গলবারের এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে।
কারণ, অতীতে একাধিক সময়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বিভাজনের একটি তত্ত্ব উঠে এসেছে। নাম না করে দিলীপ ঘোষের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরের একাংশকে। ফলে এদিনের এই সাবংদিক বৈঠক থেকে এক নয়া বার্তা নিশ্চয়ই দেওয়া হল বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে স্যাফ্রন ব্রিগেডের প্রচেষ্টা পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের এককাট্টা করার।
তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে পঞ্চায়েত স্তরে রাজ্যে যে বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে ফের একবার শাসক শিবিরকে বিঁধতে দেখা যায় প্রাক্তন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে বাংলায় গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ তুলে শাসক শিবিরকে আরও একবার তুলোধনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সুকান্ত। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দাবি, পদ্ম শিবিরের গুঁতোতেই ১০-১২ বছর পর পঞ্চায়েতের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসরে নামতে হয়েছে।