কলকাতা: সানোসান, প্রিমিয়াম ‘মেড ইন জার্মানি’ বেবি স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ২ বছর হল পা রেখেছে ভারতীয় বাজারে। এই দু বছর পূর্তিতে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হল, ভারতীয় বাজারে এর বৃদ্ধি নজর কাড়া। এটাকে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলেও মনে করছে মান জার্মানির মান অ্যান্ড শ্রোডার কসমেটিকস। এই দুই বছরের যাত্রা উপলক্ষে গ্লোডার্মার তরফ থেকে কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয় সংস্থার তরফ থেকে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মান অ্যান্ড শ্রোডার কসমেটিকসের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস (মালিক), হ্যানেস শ্রোডার।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে সনোসান তার প্রিমিয়াম বেবি স্কিনকেয়ার কিটও সামনে আনে, যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় বাজারের জন্যই।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, সনোসান বেবি, ভারতে মাত্র দুই বছরের ভারতীয় বাজারে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে। আর এই সফলতার পিছনে রয়েছে শিশুদের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই পণ্য। পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, সনোসান বেবি আগামী তিন বছরের জন্য বছরে তার বিক্রয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রেখেছে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে এও জানানো হয়, প্রাকৃতি উপাদানে তৈরি এই উচ্চ-মানের পণ্য যা ভারতীয় মায়েদের দ্বারাও প্রশংসিত হয়েছে। একইসঙ্গে এই ব্র্যান্ডটি ভারতে চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এরফলে সারা দেশে তার বাজার প্রসারিতও করছে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে গ্লোডার্মার বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক রাজেন্দ্র মেহতা জানান, ‘আমরা গর্বিত যে এত অল্প সময়ের মধ্যে সনোসান বেবি ভারতীয় বাজারে এতবড় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একইসঙ্গে বাজার থেকে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। শুধু তাই নয়, সনোসান পণ্যগুলি ভারতীয় মায়েদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এরই পাশাপাশি দেশের শীর্ষ চিকিৎসকরাও এই পণ্যকে তাঁদের পছন্দের তালিকায় সবার আগে রেখেছেন। এই সব কারণে আমরা ভারতে শিশুর ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দ্রুত সনোসান ব্র্যান্ডের প্রসার ঘটাচ্ছি।’পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘সানোসান বেবি পণ্যগুলি তাদের প্রাকৃতিক উপাদান ভিত্তিক পোর্টফোলিওর কারণে সত্যই আলাদা। শিশুদের সূক্ষ্ম ত্বকের কথা মাথায় রেখে যত্ন সহকারে প্রতিটি পণ্য তৈরিতে প্রকৃতির সেরা উপাদানগুলিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যেমন, সানোসান বেবি পণ্যগুলির গুণমান জৈব অলিভ অয়েল এবং মিল্ক প্রোটিন ব্যবহারের দ্বারা আরও সমৃদ্ধ, যা শিশুদের ত্বকের ক্ষেত্রে এবং ত্বকের পুষ্টিকে নিশ্চিত করে।’