উলুবেড়িয়ার এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর জাতি শংসাপত্র মামলায় প্রশ্ন উঠেছিল বিডিও এবং এসডিও-র ভূমিকা নিয়ে। হাইকোর্ট নিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে’র নেতৃত্বাধীন কমিটি অনুসন্ধান রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিডিও এবং এসডিও-কে সাসপেন্ড করতে। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চও অনুসন্ধান রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জানাতে নির্দেশ দেয়। একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিডিও। আর এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন এসডিও-ও।
এই ঘটনায় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মামলা দায়ের করার আবেদন জানান এসডিও। আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উলুবেড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রার্থীর জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলা বৃহস্পতিবার একক বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে এ-কথা জানান এসডিও-র আইনজীবী।
এদিকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে সম্প্রতি আদালতে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সেই রিপোর্ট ও নথি যাতে দেখতে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও এদিন বিডিও-র আইনজীবী করেন। বিডিও-র আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্তর সেই আবেদনে বিস্মিত আদালত বিডিও-র আইনজীবীর কাছে জানতে চান, তিনি ক্রস এক্সামিন করছেন কিনা সেই ব্যাপারে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গোটা রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন, সকলের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। আমি নিজেও পুরো রিপোর্ট পড়েছি।’
এদিন আদালতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিডিও-র আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই আদালতের নেই। কারণ, ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা হাইকোর্টে দায়ের না করা সংক্রান্ত বিষয়ে। তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের কথা এখন কেন বলা হচ্ছে? তাহলে আগের দিন বিডিও কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন তা নিয়েও। আগামী ১১ অগাস্ট এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।