শুভঙ্করের মৃত্য়ু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা

যত সময় যাচ্ছে ততই একের পর এক প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসক শুভঙ্কর চক্রবর্তীর এই মৃত্যুকে ঘিরে। ময়নাতদন্তে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,উপর থেকে পড়ে মৃত্যু চিকিৎসকের। শরীরে একাধিক জায়গায় রয়েছে আছড়ে পড়ার চিহ্ন। আর এই উপর থেকে পড়ার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে,মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎ আওয়াজ হয় উপর থেকে পড়ে যাওয়ার। কেয়ারটেকার ছুটে এসে দেখেন চিকিৎসক শুভঙ্কর চক্রবর্তী উপর থেকে পড়ে প্রথমে এসি মেশিনের উপরে পড়েন। এরপর বাড়ি খেয়ে মাটিতে পড়েন। এরপরই খবর পেয়ে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ রাতে আসে দেহ উদ্ধার করে বান্ধবীর ফ্ল্যাটের নিচে পাশের রাস্তা থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের পাশের দিকে অংশেই দেহ পড়েছিল। দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও ভাবে মৃত্যু, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্টলে আসে হোমিসাইড টিম, প্রগতি ময়দান থানা ও ফরেন্সিক টিম।
এদিকে শুভঙ্করের বান্ধবী পুলিশকে জানান, শুভঙ্কর মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ বান্ধবীর বাড়িতে আসেন। তাঁর মোবাইলের বার বার ফোন আসছিল বাড়িতে ফেরার জন্য। এরপরই কেয়ারটেকার প্রধান দরজা রাতে বন্ধ করে দেওয়ায় বেরোতে না পেরে ছাদ থেকে দেওয়াল পাইপ বেয়ে নেমে আসার জন্য চিকিৎসক চেষ্টা করেন। তিনি মত্ত ছিলেন। তখন আচমকা পড়ে যান। তাতে প্রথমে নিচে এসি তারপর মাটিতে এসে পড়েন। প্রশ্ন উঠছে,মত্ত অবস্থায় চিকিৎসক ছিলেন সেটা মেনে নেওয়া হলেও বান্ধবী তাঁকে আটকাতে গিয়েছিলেন বা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কি না তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে,আটকাতে গিয়ে না পারলে চিৎকার করলেন না কেন বা কেন আশপাশের সাহায্য চাইলেন না তা নিয়েও। তবে পড়ে যাওয়ার পর বান্ধবী চিৎকার করেন। তখনই ছুটে আসেন কেয়ারটেকার। ইতিমধ্যে বান্ধবীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এদিকে শুভঙ্করের পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সঙ্গে এ তথ্যও মিলছে যে, প্রথমে ফেসবুক মারফত ও পরে থাইল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসক শুভঙ্করের সঙ্গে পরিচয় হয় বান্ধবীর। এরপর থাইল্যান্ডের ওই বান্ধবী নেপাল হয়ে কলকাতায় আসেন চলতি বছরে ২৩ মে। কলকাতায় এসে মেট্রোপোলিটন হাউসিংয়ে ছাদের উপর দু-মাস আগে ঘর ভাড়া নেন। শুভঙ্করেরশেষ দু’মাস ধরে ওই চিকিৎসক বান্ধবীর বাড়িতেও আসতেন বলে খবর।
এদিকে শুবঙ্কর সম্পর্কেও সামনে এসেছে আরও বেশ কিছু তথ্য। শুধুই চিকিৎসক নন,একটি নামজাদা ব্যান্ডে তিনি লিড গিটারিস্টও ছিলেন। একধিক পারফরম্যান্স করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। সাত চিকিৎসক মিলে সেই ব্যান্ডটি তৈরি করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =