বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় কুলতলিতে টেকা দায় বিরোধী সমর্থকদের

পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন দুর্গা হালদার। অভিযোগ, তারই ‘শাস্তি’ হিসাবে তৃণমূলের লোকজন তাঁর ছেলের ঘর ভেঙে দিয়েছে। গ্রামে টেকা যাচ্ছে না। জারি হচ্ছে একের পর এক ফতোয়া। এবার তাঁদের সঙ্গেই দেখা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল দুর্গা দেবীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সন্ধ্যারানি সর্দার। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনিও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ। সেটা আটকাতে গিয়ে হাত জখম করা হয়েছে সন্ধ্যারানির। সন্ধ্যারানি স্পষ্ট জানান,সব ছাপ্পা মেরে দিয়েছে। আমাদের ভোট দিতে দেয়নি। এদিন তাঁকে নিয়ে সোজা কুলতলি থানায় যান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সামনেই লিখিত অভিযোগ নেয় পুলিশ। এদিকে দুর্গা দেবী তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান যে এমন হুমকি আসছে, ‘তোমরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছ। তৃণমূলকে ভোট দাওনি। তৃণমূলের রাস্তায় তাই তোমরা হাঁটতে পারবে না। তৃণমূলের কলে জল খেতে পারবে না। বিজেপিকে কল করে দিতে বলো। ওদের জল খাও তারপর। এমন অশ্রাব্য ভাষা বলছে যে বাড়িতে টিকতে পারছি না।’ নতুন করে ঘর বানিয়ে থাকবেন সে পথেও কাঁটা। নতুন ঘর করার কথা ভাবতেই ফের আসছে পুড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। এরপরই সন্ধ্যারানি আর দুর্গাদেবীকে নিয়ে সোজা কুলতলি থানায় হাজির হন শুভেন্দু। তাঁরই উপস্থিতিতে অভিযোগও নথিবদ্ধ করান।
শুভেন্দু এদিন স্পষ্ট অভিযোগ এনে বলেন,তফসিলি জাতির লোকজনকে হেনস্থা করছে তৃণমূল। থানায় বসেই জানিয়ে দেন সন্ধ্যারানির চিকিৎসা কলকাতায় হবে। চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই বুধবারই বিমানে দিল্লি নিয়ে যাবেন। নিয়ে যাবেন জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় তফসিলি কমিশনে। এদিকে লোকসভা ভোট হোক বা বিধানসভা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কখনও সেভাবে পদ্ম চাষ করতে পারেনি বিজেপি। তবে এখানে একটা বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। আদৌ শুভেন্দুর সফর কী সংগঠনকে অক্সিজেন জোগাতে পারবে বিজেপিতে, আর কেন্দ্রের তরফ থেকে ভরসা কি পাবেন ঘরছাড়ারা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + twenty =