নারদ মামলায় মুকুল রায়-সহ অন্য়ান্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হয়েছে, তা নিয়ে এবার আদালতে প্রশ্ন তুললেন এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নারদ মামলার শুনানি ছিল। এদিন শুনানির সময়েই তিনি বলেন, নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি তদন্ত হচ্ছে তা এদিন জানতে চান এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী।
এরপরই বিচারক এদিন ইডির কাছে জানতে চায়, বাকিদের ক্ষেত্রে তদন্তের কি হাল হকিকত। মির্জার আইনজীবী বলেন, ‘মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার মক্কেল অভিযুক্ত। অথচ মুকুল রায় বা বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে কেউ জানে না। এতে শুধু আমরা সাফার করছি।’
যদিও ইডির আইনজীবী বলেন, মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। নারদ মামলায় এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতারও হন এবং প্রায় ৫৬ দিন জেলে ছিলেন। তাঁর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ৫৬ দিন ধরে তাঁর মক্কেল জেল খাটলেন, অথচ মূল অভিযুক্ত কেন গ্রেফতার হল না তা নিয়েও। আগামী ২৮ তারিখ ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।
এই মামলায় রাজ্যের চারজন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও পরবর্তীতে তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু শুনানির সময় তাঁদের প্রতিবারই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এদিন সেইমতো মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা হাজির হন আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের একটি স্টিং অপারেশন ঘিরে হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। একের পর এক নেতাকে সেই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়। এই মামলায় কয়েকজনকে নিয়ে হইহই চললেও, একাধিক অভিযুক্তকে নিয়ে তদন্ত কোন পথে চলছে বা আদৌ তাঁরা তদন্তের মধ্যে পড়ছেন কি না তাও স্পষ্ট নয় বলে এদিন আদালতে এমনটাই দাবি করেন এক আইনজীবী।