ওয়াটার প্রুফ, ওয়াটার স্প্ল্যাশ প্রুফ আর স্পিল প্রুফ স্মার্টফোন সম্পর্কে কিছু তথ্য

বর্ষা এসে গেছে। ফলে স্মার্টফোন কিনতে গেলে প্রায় প্রত্যেকেই  দেখে নেন যে পছন্দের ফোনটি ওয়াটার প্রুফ কি না। কারণ, বৃষ্টির  জল লাগলে শেষ সাধের ফোন। মনের ভুলে হাত থেকে ফোন জলে পড়ে যাওয়াও বিচিত্র নয়। সেই জন্যই ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন কেনার দিকে ঝোঁকেন বহু মানুষ। স্মার্টফোন নির্মাতারাও চায়, তাদের ফোনে সেই সব ফিচার দিতে। এদিকে নির্মাতাদের অনেকেই তাদের পণ্যগুলিকে ওয়াটার প্রুফ, ওয়াটার স্প্ল্যাশ প্রুফ বা স্পিল প্রুফ বলে বিক্রি করেন। তবে অনেকেই এই সব কিছুর মধ্যে পার্থক্য জানেন না। মনে করেন, সবটাই ওয়াটার প্রুফের তালিকাতেই পড়ে। আদৌ তা নয়। ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন এবং অন্যান্য স্মার্টফোনের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে।

ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন বলতে বোঝায়, যে সব স্মার্টফোন জলে ডুবে থাকার পরেও পুরোপুরি কাজ করে। যদিও ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্যই এই কাজটি করতে পারে। তবে তারপর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বেশিরভাগ স্মার্টফোনই ১০০ শতাংশ ওয়াটার প্রুফ নয়। এর কারণ হল, কোনও স্মার্টফোনকে ওয়াটার প্রুফ করতে গেলে অনেক খরচ হয়। কোম্পানি যখনই কোনও ফোন কম দামে বিক্রি করে তবে ফোন ওয়াটার প্রুফ প্রযুক্তি দেওযা সম্ভব নয়।

এবারে আসা যাক স্প্ল্যাশপ্রুফ স্মার্টফোনের ব্যাপারে। স্প্ল্যাশপ্রুফ স্মার্টফোন ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন থেকে একেবারেই আলাদা। অনেক সময় দোকানদাররা এগুলোকেই ওয়াটার প্রুফ স্মার্টফোন হিসেবে বিক্রি করে। কিন্তু আদৌ তা হয় না। ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোনের তুলনায়, এগুলি জলে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদিও এই স্মার্টফোনে একটু জল পড়ে, তবে তা সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হয়ে যায় না। কখনও কখনও বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে থাকে।

এবার আসা যাক স্পিলপ্রুফ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে। স্পিলপ্রুফ স্মার্টফোন স্প্ল্যাশপ্রুফ স্মার্টফোনের চেয়ে জলে অনেক কম কাজ করতে পারে। তার মানে এই ধরনের স্মার্টফোন যদি বৃষ্টিতে ব্যবহার করেন, তবে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে। কম দামি স্মার্টফোনগুলিতে সাধারণত স্পিলপ্রুফ ফিচার ব্যবহার করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =