কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিলেন না চাকিরপ্রার্থীদের একাংশ, রয়ে গেল একাধিক শূন্যপদ

চাকরি পেয়েও চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিংয়ে যোগদানই করলেন না বিরাট পরিমাণের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ফলে কার্যত নজিরবিহীনভাবে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রথম দফার কাউন্সেলিং শেষে একাধিক শূন্যপদ রয়েই গেল।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং শুরু হয় গত ১১ই নভেম্বর থেকে। এই পর্বের কাউন্সেলিং শুধুমাত্র বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলি জন্য ধার্য করা হয়। প্রথম দিন ৭০৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল অনুমোদনপত্র হাতে নেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বাংলায় শিক্ষকতা করার জন্য ৩৫০ জনকে এবং ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য ৩৫৭ জনকে ডাকা হয়। সেবারেও সাতশোরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৪ জন। আবার কাউন্সেলিংয়ে এসেও নিয়োগপত্র নেননি তিন জন এরপর বুধবার দেখা গেল শিক্ষক নিয়োগে প্রথম দফার কাউন্সিলিং শেষে প্রথম দফায় প্রায় ৮৮০০ জনের মধ্যে অনুপস্থিত থাকলেন প্রায় ২২০০ জন চাকরি প্রার্থী। চাকরিপ্রার্থীদের এই অনুপস্থিতির জেরে একাধিক পদ শূন্য তৈরি হয়ে গেল।

সূত্রে খবর, বাংলা,ইংরেজি বিষয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগেও একাধিক চাকরিপ্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতেই এলেন না। ফলে এবার ওয়েটিং লিস্ট থেকে কাউন্সিলিং শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে এসএসসির পক্ষ থেকে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকেই ওয়েটিং লিস্ট থেকে ফের শূন্য পদ ভর্তি করতে কাউন্সিলিং শুরু করবে এসএসসি।

প্রসঙ্গত, আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ থমকে ছিল। এই সময়কালের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করছেন বা কেউ শিক্ষকতার চাকরি থেকে সরে অন্যান্য সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো ধারাবাহিক কাউন্সেলিং করে চলেছে এসএসসি। নতুন করে যাতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সংশোধিত শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − two =