রামনবমীর অশান্তিতে তদন্তে এনআইএ তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া সরকার। নতুন করে এনআইএ তদন্তের বিরোধিতা করে ফের কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে গেল রাজ্য। সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের এন.আই.এ বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ হওয়ার পরেও বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এর এজলাসে এবার ফের একই আবেদন নিয়ে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
ইতিমধ্যে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তরফ থেকে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের খারিজ করে দেওয়া মামলা কীভাবে আবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে দায়ের হয় সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য-এর বেঞ্চের বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রের আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী। এরই পাশাপাশি এনআইএ-র তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তথ্য লুকিয়ে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। এদিকে সূত্রে খবর, এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এরপরেই এই মামলা ছাড়েন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। ফলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবার রাজ্যের অসহযোগিতার মামলার শুনানির মুখে পড়তে হবে রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলি ও ডালখোলা এলাকার একাংশে দফায় দফায় হিংসাত্মক ও অশান্তির ঘটনা ঘটে। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দফায় দফায়। জারি হয় ১৪৪ ধারা। তিন চারদিন ধরেই অব্যাহত ছিল উত্তেজনা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই গোলমালের পিছনে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থ কাজ করে থাকতে পারে। পুলিশকেও তারা কাজে লাগিয়েছে, ব্যবহার করেছে। উল্লেখ্যযোগ্যভাবে, রামনবমীর ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হলে সুপ্রিম কোর্টে গড়ায় মামলার জল। রাজ্য রামনবমীর অশান্তিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।