পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বাহিনী-তরজা যেন আরও প্রকট। সেক্ষেত্রে রাজ্যের প্রায় ৬৫ হাজার বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করা যেতে পারে। শনিবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর এমনটাই জানানো হয় রাজ্যের তরফ থেকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কলকাতা পুলিশের ২০ হাজার ফোর্সের মধ্যে ১৫ হাজার বাহিনী দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্য। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১১৩৭ কোম্পানি বাহিনী থাকতে পারে পঞ্চায়েত ভোটে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যে রাজ্যে এসেছে। শনিবার রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠকের পর জানানো হয়, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় যে পুলিশ রয়েছে, নির্দিষ্ট ডিউটি বাদ দিয়ে আরও ৬০ হাজার রাজ্য পুলিশকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
একইসঙ্গে কলকাতার যে পুলিশবাহিনী রয়েছে, তা থেকে প্রায় ১৫ হাজার পর্যন্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা সম্ভব বলেও জানানো হয়। তবে কলকাতার পুলিশের তরফ থেকে এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না, কতটা কর্মী তাদের তরফ থেকে দেওয়া সম্ভব। এরপর এই ইস্য়ুতে শনিবার ফের সন্ধ্যায় এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। প্রথমে ২২ কোম্পানি ও পরে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোটের কথা বলা হচ্ছিল।
তবে একসঙ্গে একইদিনে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রের তরফে আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১১০০র বেশি ফোর্স, সশস্ত্র বাহিনী থাকার সম্ভাবনা পঞ্চায়েত ভোটে। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে ভিন রাজ্যের পুলিশ কর্মীরা কাজ করবেন। ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে পুলিশ আসতে শুরু করেছে।