আরজি কর মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে হলফনামা জমা দিল রাজ্য। এই মামলায় সোমবারই শিয়ালদহ আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ধারা এনেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়র নিয়োগ করা হয়, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে।গত শুনানিতে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।তিনি রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরও জানতে চান।
যার মধ্যে প্রশ্ন তোলা হয়, সিভিক ভলান্টিয়রদের কীভাবে নিয়োগ করা হয় তা নিয়েও। সঙ্গে এও প্রশ্ন তোলা হয়, তাঁদের যোগ্যতার মান কী সে ব্যাপারেও। এছাড়াও প্রশ্ন তোলা হয়, কী পদ্ধতিতে এই সিভিকদের নিয়োগ হয় তা নিয়ে। তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে এই সিভিকদের রয়েছে কি না, তা কোন প্রক্রিয়ায় যাচাই করা হয় সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সেই সংক্রান্ত প্রত্যেকটি বিষয় এদিন হলফনামায় রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানায়। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান পুলিশ সুপার। পাশাপাশি রাজ্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ্যাপেক্স কমিটি।
এবার এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক–সহ নাগরিক সমাজের একাংশ। প্রশ্ন উঠছে, কমিটির ছাকনি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়োগ সম্ভব ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়রদের। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, সিভিক ভলান্টিয়রদের স্থানীয় থানার বাসিন্দা হতেই হবে। আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব্যবহার করা হয় না। রাজ্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা চলবে না। সেক্ষেত্রে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তাঁর পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও তাঁকে কীভাবে নিয়োগ বা কাজে রেখে দেওয়া হল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।