ছেলেকে খুন-ই করা হয়েছে। এমনই ধারনা থেকে ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা রুজু করলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশও। অবশ্য স্বপ্নদীপের বাবা নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়া ও মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্নপ্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্বপ্নদীপের পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, এই মৃত্যুর সঙ্গে র্যাগিং জড়িত কি না!
এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের বক্তব্য, তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। কী হয়েছে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি এও জানা গেছে, এখনও এই ঘটনায় ১০-১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রের মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ছিল। বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়। কোমরও ভেঙে গিয়েছিল। তবে স্বপ্নদীপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল গুরুতর। সেটা কেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারা রুজু করল পুলিশ। এদিকে বঙ্গ বিজেপি শিবির সূত্রে স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। র্যাগিং-এর গাইডলাইন না মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।