পুলিশ কর্মীদের ডিএ ইস্য়ু নিয়ে ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিদ্ধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেও তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নথি তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশ কর্মীদের ন্যায্য পাওনা থেকে ৩৬ শতাংশ কম ডিএ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে এও দাবি করেন, স্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগ বন্ধ রেখে সেই জায়গায় অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আর এই অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে সমান কাজ করানোর পরও তাঁদের জুটছে অসম। আর এর মধ্য দিয়েই পুলিশ বিভাগে কর্মচারীদের মধ্যে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। বছরের পর বছর এই সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বঞ্চিত করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার চাপ আসার সঙ্গে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার কারণেই হোম গার্ড, এনভিএফ, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং উপকূলীয় চুক্তিভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকদের ভাতা প্রদান করে তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টাও করছেন। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘ওই কর্মচারীদের সন্তানদের, যারা মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেছেন তাদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। প্রথমত পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হবার সাথে সাথেই নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যায়। এই মুহূর্তে এই ধরণের নির্দেশিকা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির উলঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়।’ এর পাশাপাশি শুভেন্দু এ প্রশ্নও তুলে দেন, ‘উদ্দেশ্য যদি এতটাই মহৎ ছিল তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই এই নির্দেশিকা জারি করা হল না কেন? আসলে মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বৃত্তি প্রদানের আড়ালে কম বেতন-সহ অন্যান্য বঞ্চনাগুলি ঢাকা দেওয়ার পাশাপাশি কিছু পাইয়ে দিয়ে পুলিশ কর্মীদের আনুগত্য কেনবার চেষ্টা করছেন।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও বিদ্ধ করে জানান, ‘মাননীয়ার গৃহপালিত, অনুপ্রাণিত নির্বাচন কমিশনার নিজের চোখে আনুগত্যের চশমা লাগিয়ে রেখেছেন, যার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি উলঙ্ঘন দৃশ্যমান হয় না।’ যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দীর্ঘ পোস্টে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।