ইয়েস ব্যাংকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ম্যাগনাম ঘোষণা করল‘সবার পুজো, দুর্গাপুজো’ উদ্যোগের ২য় সংস্করণ সফলভাবে সম্পূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া শিশুদের আনন্দ দেওয়ায় নিবেদিত এই মন ছুঁয়ে যাওয়া ক্যাম্পেন চলেছে সেপ্টেম্বর ২ থেকে ২৫, ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যে ইয়েস ব্যাংকের ৩৫টি শাখা জুড়ে। সামাজিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই উদ্যোগ ৪৮০০-র বেশি নতুন জামাকাপড় সংগ্রহ করে বিতরণ করা হয়। লক্ষ্য একটাই, যাতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের ছেলেমেয়েদেরও দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করা যায়।
দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের এক বহু প্রতীক্ষিত উৎসব। এটি ঐক্য, একাত্মতা এবং প্রাণবন্ত উৎসব পালনের সময়। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হল নতুন জামাকাপড় পরার আনন্দ। রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ম্যাগনামের সঙ্গে মিলে ইয়েস ব্যাংক এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতা, কর্মচারী, স্কুল এবং আবাসিক গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহিত করেছে এই উদ্যোগে নিজেদের অবদান রাখতে। যে সাড়া পাওয়া গেছে তা অভিভূত করে দেওয়ার মত। সমাজের সমস্ত ধরনের মানুষ একত্রিত হয়েছেন খুশি ছড়িয়ে দিতে এবং পিছিয়ে পড়া শিশুরাও যেন এই মরশুমের জাদুর ছোঁয়া পায় তা নিশ্চিত করতে।
এইভাবে যেসব জামাকাপড় সংগ্রহ করা হয়েছে তা কলকাতার রোটারি সদন থেকে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হয়। অধ্যাপক শান্তনু রায়, প্রফেসর এমেরিটাস, টেকনো ইন্ডিয়া, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানকে সম্মানিত করেন। এই অনুষ্ঠানে স্কুল, স্থানীয় সংগঠনগুলির প্রতিনিধি এবং রোটারি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এঁরা সবাই একজোট হয়েছেন দান করার মানসিকতা নিয়ে।
এই উদ্যোগের সাফল্য সম্পর্কে নিপুণ কৌশল, চিফ মার্কেটিং অফিসার অ্যান্ড হেড সিএসআর, ইয়েস ব্যাংক, বললেন “দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের জনসমাজের জন্যে বিপুল সাংস্কৃতিক ও মানসিক তাৎপর্যপূর্ণ সময় আর আমরা এই উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে একটা ভূমিকা পালন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। অভিভূত করে দেওয়ার মত যে সাড়া আমরা পেয়েছি তাতে প্রমাণিত হয় যে সমাজ সমবেতভাবে একটা যৌথ উদ্যোগকে সাহায্য করতে চায়। যারা যারা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রত্যেকের কাছে আমরা এই সাফল্যের জন্যে সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
ইয়েস ব্যাংকের ‘সবার পুজো, দুর্গাপুজো’ ক্যাম্পেন ব্যাংকের চলতি কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট এবং অন্তর্ভুক্তিকে লালন করার প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ। ইয়েস ব্যাংকের লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া শিশুদের পাশে থেকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তাদের রয়েছে তা পূরণ করার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এমন এক সমাজ, যেখানে সকলে একসঙ্গে উৎসবের আনন্দ উদযাপন করতে পারে।