এসএসকেএমে বাইপাস সার্জারি করতে চান না সুজয়কৃষ্ণ। আর সেই কারণেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। জামিন চেয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সুজয়কৃষ্ণ তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি করছেন, তাঁর বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাঁকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এবার অন্তর্বর্তী জামিন চেয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আর্জি জানালেন তিনি। মামলা তালিকাভুক্ত হওয়ার পর আগামী সপ্তাহে এর শুনানির সম্ভাবনা।
এর আগে নিম্ন আদালতে এই একই আবেদন নিয়ে যান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে বৃহস্পতিবার তাঁর আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক।
সুজয়কৃষ্ণর বক্তব্য, বাইপাস সার্জারি তিনি বেসরকারি হাসপাতালে করাতে চান। কিন্তু ইডি এসএসকেএম হাসপাতালেই এই সার্জারির পক্ষে সওয়াল করে। নিম্ন আদালতও তাতেই সম্মতি দেয়। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুক্রবারই তাঁর আবেদনের দ্রুত শুনানি চেয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। যদিও আদালত জানিয়েছে, মামলা দায়ের করে আসতে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী মারা যাওয়ায় প্যারলে মুক্তি পান। সেই প্যারল শেষে সংশোধনাগারে ফেরার দিনই পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে জানা যায়, কাকুর হার্টের সমস্যা। বুকে পেসমেকারও বসানো আছে। এরপর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি কালীঘাটের কাকু। এরইমধ্যে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর বাইপাস সার্জারি প্রয়োজন। কিন্তু সেই সার্জারি এসএসকেএমে নয়, বেসরকারি হাসপাতালে করাতে চান তিনি।