পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটগ্রহণের ঠিক আগে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল তাঁকে। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানের নামে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ নিয়ে মামলা করেছেন তিনি। জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ এই মামলা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই মতো বুধবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, এই জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি করার অনুমতি দেওয়াও হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কিছুদিন আগেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের সমস্যা জানানোর জন্য একটি বিশেষ নম্বর চালু করা হয়। প্রথম থেকেই সেই ফোন নম্বর নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় বিরোধী শিবির থেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হত, এবার মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে সেই একই নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রশ্ন, রাজনৈতিক দল যে নম্বর ব্যবহার করছিল, সেটা এখন রাজ্যের নামে কেন ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়েই।
এদিকে আবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনের প্রার্থী দীনেশ মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। টাকা বিলি করার ছবি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয় এই বিতর্ক।