ডেঙ্গি আর চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

ভারতে বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার গুলির প্রকোপ নজরে আসে। একটানা ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে জল জমতেই শুরু হয় ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া মশার দাপাদাপি। ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া দুটি রোগই মশার কামড়ে হয়। আর এই দুই ধরনের মশা আমাদের কামড়ালে ভাইরাস সংক্রমণের বড় আশঙ্কা। ডেঙ্গির জন্য দায়ী জেনাস ফ্ল্যাভিভাইরাস, আর চিকুনগুনিয়া জেনাস আলফাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ। কিন্তু ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মধ্যে কোন জ্বর হয়েছে বোঝা বেশ কঠিন সাধারণ চোখে। কারণ, এই দুটি রোগেই প্রথমে জ্বর বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে দুটি রোগের মধ্যে পার্থক্য করা যায়।

ডেঙ্গির লক্ষণ

মশার কামড়ে কখনও জ্বর হলে প্রথমে আয়নায় চোখ দেখুন। লাল হলে বুঝবেন ডেঙ্গি হয়েছে। এ রোগে গায়ের রং হালকা লাল হয়ে যায়। সাধারণত এই জ্বর ৩ থেকে ৪ দিন থাকে, যার কারণে রক্তে প্লেটলেটের ঘাটতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মুখের রুচির পরিবর্তন, মাথা ঘোরা, বমি ও মূর্ছা যাওয়াও হতে পারে। বাড়াবাড়ি অবস্থায় এই রোগে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছয়।

চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ

ডেঙ্গির মতো চিকুনগুনিয়াতেও প্রথমে জ্বর আসে, এর সঙ্গে জয়েন্টে এমন ব্যথা হয় যা কখনও কখনও অসহ্য হয়ে ওঠে। এই জ্বর কমে গেলেও এর প্রভাব অনেক দিন থাকে। চিকুনগুনিয়ায় চোখে ব্যথা ও গলা ব্যথার অভিযোগও রয়েছে।

কী ভাবে ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া এড়ানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই নজর দিতে হবে যাতে মশা না জন্মায়।

কোথাও যাতে জল জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখুন। কারণ বদ্ধ জলে মশার লার্ভা বৃদ্ধি পায়। বিশেষত, পাত্র, টায়ার, অবশিষ্ট নারকেলের খোসা, ছোট বড় গর্ত পরিষ্কার রাখুন।

এছাড়াও সপ্তাহে দুবার কুলার পরিষ্কার করতে হবে। কুলার পরিষ্কার করা সম্ভব না হলে তাতে ২ চামচ কেরোসিন তেল দিন।

পাশাপাশি রাতে বা দিনে শুধুমাত্র মশারিতে ঘুমানো উচিত, এতে এই রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =