বর্ষা প্রবেশ করেছে রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে। জেলায় জেলায় স্বস্তি ফিরেছে বৃষ্টিপাত আর তাপপ্রবাহ কমায়। তবে এই বৃষ্টিপাতের সময় বাজ পড়ে মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ফলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবারও তিলোত্তমায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সকাল থেকেই আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু অংশে প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। ফলে বৃষ্টিপাত চলবে জেলায় জেলায়। শনি এবং রবিবার বাড়তে পারে বৃষ্টি। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং আংশিক পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনও মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেনি। তবে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম থাকবেই। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বর্তমানে বেশ বেশি। আর সেই কারণেই থাকছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
এদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষা প্রবেশের কারণে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমবে। তবে শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে হাওয়া বদলের একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই দিন থেকে স্বাভাবিক হবে বৃষ্টি।
এদিকে বৃষ্টির সময় কোন এলাকায় বজ্রপাত হবে, তা আগে থেকে নির্দিষ্ট করা অত্যন্ত কষ্টসাপেক্ষ। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতরের ‘দামিনী’ অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন এলাকায় বাজ পড়তে চলেছে তা কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে জানান দেয় অ্যাপটি। সেই সময় ফাঁকা কোনও জায়গাতে বা গাছের নীচে দাঁড়ানো উচিত নয়। বাড়িতে বাপাকা কোনও শেল্টারের তলায় আশ্রয় নিলে না থাকলে বজ্রপাত জনিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।