প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন মুলুকে পা রাখতেই ভারতীয়দের ভিসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বাইডেন প্রশাসন। এতে ভারতীয়রা যারা আমেরিকায় কর্মসূত্রে যাচ্ছেন, তাঁদের বসবাস আরও সহজ হল। সূত্রের খবর, ভারতীয় দক্ষ কর্মীদের আমেরিকায় কাজের সুযোগ ও থাকার সুবিধার জন্যই সে দেশের ভিসা নীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কর্মদক্ষ ভারতীয় সহ অন্যান্য় দেশের নাগরিকরা যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে আমেরিকায় থাকতে পারেন, তার জন্য এইচ-১বি ভিসার নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অল্প সংখ্যক ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা, যারা আমেরিকায় বসবাস করছেন বা কর্মসূত্রে আমেরিকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে।পাশাপাশি এও জানা গেছে, শীঘ্রই মার্কিন প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে সরকারি ঘোষণা করা হবে। যেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন সফরে রয়েছেন, সেই সময়েই মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবারই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই নিয়ে ঘোষণা করতে পারে। অপর এক সূত্রে খবর, পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই ভিসা নীতিতে পরিবর্তন করা হবে। সাফল্য় মিললে, পরবর্তী সময়ে এই নীতি আরও দীর্ঘায়িত করা হতে পারে।
তবে কোন ধরনের ভিসাকে এই পাইলট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, প্রাথমিক স্তরে অল্প সংখ্যক ভারতীয় ও অন্যান্য় দেশের নাগরিকদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। পরে দুই বছরের মধ্যে নতুন ভিসা নীতি পুরোদমে চালু করা হবে। কী কী পরিবর্তন আনা হবে পুরনো ভিসা নীতিতে, তাও জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতীয়রাই আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার সবথেকে বেশি ব্যবহারকারী। ২০২২ সালের অর্থবর্ষে আমেরিকায় এইচ১-বি ভিসায় কর্মরত ৪ লক্ষ ৪২ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৩ শতাংশই ভারতীয় ছিল। প্রতি বছরই মার্কিন প্রশাসনের তরফে ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও ২০ হাজার ভিসা দেওয়া হয় দক্ষ কর্মীদের জন্য বা যাদের কাছে বেশি ডিগ্রি রয়েছে। প্রতিটি ভিসার মেয়াদ তিন বছর এবং তা পরে আরও তিন বছরের জন্য রিনিউ করা যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে এইচ-১বি ভিসা নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনাতেই বহু ভারতীয়ের আমেরিকা যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে আরও গাঢ় করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।