তৃণমূল নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে  গ্রেফতার মামলায় সিবিআই তদন্তই বহাল

তৃণমূল নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে হাততালি দেওয়ায় গ্রেফতার। এই গ্রেফতারির পর দুই মহিলার ওপর লক আপে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই আদালতের নির্দেশ, ঘটনার তদন্ত করার ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এরপর বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ে হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকল সিবিআই তদন্তের নির্দেশই। অর্থাত, এই গ্রেফতারির ঘটনায় কারা ওই পুলিশ ছিলেন, তাদের সনাক্ত করতে হবে সিবিআইকে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আসে রাজ্য। সেই আবেদন বুধবার খারিজ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে।

আদালত সূত্রে খবর, বুধবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এটা আরজি করের সঙ্গে যুক্ত? তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে?’ রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘দুজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট পকসো যুক্ত আছে বলে পকসো কোর্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।পুলিশ সেখানে লক আপে কীভাবে অত্যাচার করবে বলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এজি। একইসঙ্গে এজি এদিন এও বলেন, ‘সাংসদের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ। জেলের মধ্যে কোন অত্যাচার হয়নি। পকসো ধারা দেওয়া হয়েছে।’ সেক্ষেত্রে প্রথম দিনেই সিবিআই তদন্ত কীভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এজি।

এরই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘প্রথম দিন শুনেই আরজি করে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ আসেনি আদালতে। রাজ্যের দায়িত্ব এটা দেখা আইন মেনে আদৌ কাজ হয়েছে কিনা। রাজ্য তাকে সমর্থন করতে পারে না।এরই রেশ টেনে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনার অফিসার এত আত্মবিশ্বাসী তাহলে সিবিআই কে দিয়ে দিন।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে কারণে মামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।

এরই রেশ ধরে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘মামলাকারীকে এতটাই মারা হয় যে, বিচারক এক্স করার পরামর্শ দেন। এফআইআরে প্রথমে নাম ছিল না। তাও কারও ইগো সন্তুষ্ট করতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ডেপুটি পুলিশ সুপারের আচরণ একপেশে ছিল।এরপরই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিঙ্গল বেঞ্চের অর্ডারে কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাঁর মন্তব্য, ‘মামলাকারীর শারীরিক নির্যাতন মেডিক্যাল রেকর্ড দেখে অস্বীকার করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 6 =