শতাব্দী প্রাচীন হেয়ার স্কুল পরিণত হয়েছে জঞ্জালের স্তূপে

স্কুলের বারান্দায় বহু দিন ধরেই পড়ে আছে কাগজের টুকরো, প্লাস্টিক, আবর্জনা। এদিকে শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চের নীচে ডাঁই হয়ে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। শৌচাগারের এমন অবস্থা যে পড়ুয়ারা ঢুকতেই পারে না। এই মুহূর্তে এটাই নজরে আসবে শতাব্দীপ্রাচীন হেয়ার স্কুলের প্রাঙ্গনে পা রাখলে। আর এই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে এবার হস্তক্ষেপ করতে হল খাস কলকাতা জেলা শিক্ষা দপ্তরকে। দপ্তর সূত্রে খবর, স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে দু’জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী নিয়োগ করে দ্রুত জঞ্জাল পরিষ্কার করতেও বলা হয়েছে।
এদিকে হেয়ার স্কুলের এই হতশ্রী চেহারা দেখে অভিভাবকদের প্রশ্ন, ‘ঐতিহ্যশালী সরকারি স্কুলটির এমন দশা হবে কেন?’ এই প্রসঙ্গে কলকাতা জেলা শিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানান,‘ওই স্কুলের তিন জন অস্থায়ী সাফাইকর্মীর মধ্যে দু’জন নেই।’ আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে অস্থায়ী সাফাইকর্মী রাখেনি তা নিয়েই। এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য জানান,‘যে একজন মাত্র সাফাইকর্মী রয়েছেন।তিনিও অনিয়মিত। পূর্ত দপ্তরের সাফাইকর্মী কাজ করা বন্ধ করেছেন। পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এক জন সাফাইকর্মীকে আনা হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা মিশন থেকেও কিছু সাহায্য পাচ্ছি। স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।’ যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে রাজ্যের ৩৯টি সরকারি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর একাধিক শূন্য পদ রয়েছে। আর এখানেই তাঁর পরামর্শ,‘অস্থায়ী সাফাইকর্মী নিয়োগ করে এর সমাধান হবে না। নতুন নিয়োগ চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 3 =