দত্তপুকুরে বাজি করাখানায় বিস্ফোরণের পর রবিবার সন্ধেয় কালীঘাটে নিজের বাড়িতেই দুই পুলিশ প্রধানকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রে খবর, দত্তপুকুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠান বাড়িতেই। রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যান। দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। যদিও বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতায় ২০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে শ্রমিকদের দেহাংশ। পাশের বাড়ির ছাদে, গাছের উপরেও উঠে গিয়েছে মৃতদেহ। গোটা ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আটজনের। স্থানীয়দের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১২-এর কম নয়। আহত আরও আটজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এদিন সন্ধ্যা নামার পর অর্থাৎ এই বিস্ফোরণের প্রায় ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসেন শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। তৃণমূল মন্ত্রীরা সাংসদরা ঘটনাস্থল ছাড়ার পর আসেন রাজ্যপাল। মন্ত্রী রথীন ঘোষ,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,পার্থ ভৌমিক,সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্বকে আসতে দেখা যায় ঘটনাস্থলে। তবে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড পেরিয়ে আর তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করেননি।
অন্যদিকে আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি শাসক দলকেই দায়ী করেছে, যেখানে পুলিশ প্রশাসনের মদত ছিল বলেও তিনি অভিযোগ করে এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানান ভাঙড়েক বিধায়ক। তদন্ত হলে মন্ত্রীর নাম উঠে আসার আশঙ্কা নওশাদের। এদিকে তদন্তের দাবি করেছেন সুকান্ত ভট্টাচার্য থেকে কৌস্তভ বাগচিও।