ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে প্রযুক্তি ব্য়বহারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

যাদবপুর ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে বড় পদক্ষেপ করতে চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধু ক্যামেরা বসানো বা প্রাক্তন সেনা কর্মী নিয়োগেই নয় এরপর মাদক নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে যাতে তাও সহজে বুঝে নেওয়া যায়, তার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

এই প্রসঙ্গে রবিবার যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, নারকোটিক্স ডিটেকশনের সাহায্যে হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদক রোখার ভাবনাচিন্তা চলছে। সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও। অ্যান্টি র‌্যাগিং যে স্কোয়াড আছে, তাতে কম করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে রাখা হবে বলেও জানান উপাচার্য।

এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আরও দু’টো প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছি। অ্যালকোহল ডিটেক্ট করবে বা নার্কোটিক্স ডিটেক্ট করার জন্য যদি কিছু ব্যবস্থা থেকে থাকে। তবে সেটাও আমাদের দেশের আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল করেন যারা তাদের থেকে সাজেশন নিতে হবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কী কী নির্ণয় করা যায় সেটাও দেখার বিষয়। সবই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে এখন।’

যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে যথেচ্ছভাবে নেশার জিনিস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পড়ুয়াদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সেকেন্ড হোম’ দাবি করে বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেশা করা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবে সেসব গুরুত্ব দিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। বলছেন, এসব কথা গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করলে মেধা-উৎকর্ষের দিক থেকে দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গেও এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ‘আমরা ওয়েবেলকে অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দু’দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলেছি। ওয়েবলের লজিস্টিক এবং পরিকাঠামো কী আছে আমি জানি না। কী নিয়ম তাও জানি না। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিরাপত্তায় একটা গাফিলতি তো ছিল। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। সরকারও নিশ্চয়ই চাইছে ইউজিসির সমস্ত নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। আমাদের আচার্যও বলেছেন, নিরাপত্তা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং যে নিয়ম তা মেনে এগোতে হবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =