মইনুদ্দিন গাজির মনোনয়ন জমা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজঝল গ্রামের বাসিন্দা মইনুদ্দিন গাজির মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। এদিকে মইনুদ্দিন গাজির ওই মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণাও করে নির্বাচন কমিশন। তখনই জানিয়েছিল মামলার পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে কমিশনের ভাবনার কথা হাইকোর্টে জানানো হবে। মঙ্গলবার কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত কথা আদালতে জানান কমিশনের আইনজীবী। কমিশনের দাবি, তদন্ত করেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। কমিশনের তরফ থেকে জমা দেওয়া হয় রিপোর্টও।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়ার পরও তাঁর জমা পড়েছিল মনোনয়ন। রিটার্নিং অফিসারের সামনে প্রার্থীর সই ছাড়া কী করে তা জমা নেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তোলা হয় বিরোধী শিবির থেকে। জল গড়ায় হাইকোর্টে। গোটা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করে রাজ্যের শীর্ষ আদালত। এবার এল তদন্তের নির্দেশ। নির্দেশ দিলেন বিচারতি অমৃতা সিনহা।

এদিকে এ মামলায় আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্টি করে আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, এ ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। একই সুর মামলাকারী আইনজীবীর গলায়। এদিন তিনি বলেন, ‘কমিশন বর্তমানে এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবে, এই ঘটনা অনেক কিছুর দিকে ইঙ্গিত করছে। যখন আমরা এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে যাই তখন কেউ অভিযোগ নেয়নি।’

এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা তদন্ত চাইছেন, কিন্তু তদন্ত কিসের উপরে সেটা হবে? এটা তো একজন প্রার্থীর বিষয়।‘ তখনই পাল্টা সওয়াল করে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, ‘এই ব্যক্তি আদৌ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন নাকি অন্য কেউ তার নামে জমা দিয়েছেন, সেটাই পরিষ্কার নয়।’ যদিও শেষ পর্যন্ত সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে ফের একবার রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।

এরই পাশাপাশি আদালতের এও ধারনা, যে ব্যক্তি এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন তিনি বিষয়টায় খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ঠিক মতো স্ক্রুটিনিও হয়নি। তবে এখানেই রিটার্নিং অফিসারের কার্যকলাপ যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করছে আদালত। আর সেই কারণেই তাই এ বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়। আর এই তদন্ত করতে হবে যিনি মনোনয়ন জমা নিয়েছিলেন তাঁর সম্পর্কে। আর সেই কারণেই মনোনয়নপত্র সহ সমস্ত নির্বাচনী তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশও দেয় আদালত। তবে এ বিষয়ে কোনও সংস্থা তদন্ত করবে তা পরবর্তীকালে জানিয়ে দেবে কলকাতা হাইকোর্ট, এমনটাই জানানো হয় মঙ্গলবার আদালতের তরফ থেকে। আদালত সূত্রে এ খবরও মিলেছে যে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জুলাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + three =