৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারার দাবি তোলা হল রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে

পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনভর অশান্তির শেষে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির ব্যাপারে জোরালো দাবি তুলল বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেড। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৩৫৬ ধারা জারির ব্যাপারে আওয়াজ তোলার পাশাপাশি আরও এক ধাপ এগিয়ে বিষয়টি রাজ্যপালের বিবেচনা করা উচিত বলে জানান বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

শনিবার নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই এদিন একের পর এক জেলা থেকে অশান্তির খবর উঠে আসতে থাকে। কোচবিহার থেকে মুর্শিদাবাদ, হাওড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা একাধিক জেলায় রক্তারক্তি, মারামারি, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, বোমাবাজি একাধিক ঘটনার কথা উঠে আসতে থাকে।

এদিন রাজ্যে জুড়ে অশান্তির চিত্র দেখার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এখন দুটি রাস্তা বজায় আছে। একদিকে রয়েছে, গণ অভ্যুত্থান। চলো কালীঘাট। গুলি করুক।’ এরপর শুভেন্দু উল্লেখ করেন, ‘প্রথম ১০ – ২০ জন মরবে। আমি সামনে থাকতে রাজি আছি। তারপর বাংলার ১০ কোটি লোক বেঁচে যাবে। অথবা ৩৫৬ বা ৩৫৫ ধারা জারি করে নির্বাচন। এর কোনও বিকল্প নেই।’ এরপরই একই সুর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও। প্রশ্ন তোলেন, ‘৩৫৫ বা ৩৫৬ কেন‌ দাবি কেন করছেন না রাজ্যপাল? আমরা দেখব রাজ্যপাল‌ ‌কী করেন?’ এরপরই শমীক জানান, ‘কোনও ভবে এই রাজ্য সরকার চলতে দেওয়া যায় না। গোটা রাজ্যে যা অবস্থা তাতে ৩৫৬ প্রয়োগ হওয়া উচিত‌।’ সঙ্গে এও জানান, রাজ্যপাল কী করে দেখেন তার অপেক্ষায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে, রাজ্যপাল এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না বলে আগামী দিনে বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কোনও আবেদন করা হবে কিনা সেই ব্যাপারে জল্পনা বজায় রাখেন তিনি।

নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির ঘটনার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলতে শুরু করে। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ভোটকে প্রহসন বলে দাবি করেন। সুকান্ত বলেন, ‘দিদি এবং তাঁর দুষ্কৃতীরা এভাবেই ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছে। কোচবিহার জেলায় ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ নির্বাচন কমিশন কোথায় গেল এমন প্রশ্নও তুলতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − four =