পঞ্চায়েত নির্বাচনে নানা জেলায় প্রাণ গেল ১৫ জনের

আশঙ্কাকে সত্যি করে সকাল থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা, মৃত্যু৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনেই মৃত্যু হল ১৫ জনের৷ তার মধ্যে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রাণ গেল ৫ জনের। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শনিবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। এদিন বিকেলের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অবশ্য দাবি করেছেন, ভোটের হিংসায় শনিবার মাত্র তিন জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যদিও নির্বাচন কমিশনের এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয় বিরোধী শিবিরের তরফ থেকে। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। ভোটের আগের দিন রাত থেকেই ফের অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে। এদিন সকাল থেকে বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে লালগোলায় ভোট হিংসার বলি হয়েছেন এক সাধারণ ভোটারও।

মুর্শিদাবাদ ছাড়াও এ দিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়েছিল কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে।

মুর্শিদাবাদের পরেই একদিনে দু জনের মৃত্যু হয়েছে কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায়৷ এক জন করে প্রাণ হারিয়েছেন মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে।

২০১৮ সালেও পঞ্চায়েত ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন। সেবার সবথেকে বেশি হিংসার অভিযোগ ছিল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম থেকে। এবার তুলনামূলক ভাবে এই জেলাগুলি থেকে সেভাবে ভোট হিংসার খবর আসেনি৷ তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না বহু মানুষের মৃত্যু।

ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। এরপর একদিনে ১৫ জনের মৃত্যুর পর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩৫-এ। আগামী মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশ। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে প্রাণহানি, রক্তপাত আরও বাড়ে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে এখন বঙ্গ রাজনীতির কারবারিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − eighteen =