পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুক্রবার ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে আরও এক বৈঠকে করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যে জট তৈরি হয়ে রয়েছে, সেই সব নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের এই বৈঠকে। এর পাশাপাশি রাজ্যের তরফে কত পুলিশ দেওয়া যাবে, সেই বিষয়টি নিয়েও কথা হয় এদিনের এই বৈঠকে। বিকেলের বৈঠক শেষে বেরনোর সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যে কোম্পানিগুলি এখনও আসা বাকি রয়েছে, সেগুলিও চলে আসবে। এখনও পর্যন্ত ৬৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্য়েই পৌঁছে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোঅর্ডিনেশনও ঠিকঠাক রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে ৬৫ হাজার পুলিশ রয়েছে, সেই পুলিশ বাহিনীও ধীরে ধীরে মোতায়ন করা হবে বলে জানালেন তিনি। এছাড়া বেশ কিছু কোম্পানি স্টেট স্পেশালাইজড ফোর্সও রাজ্য দিচ্ছে বলে জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানির জন্যই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাকি বাহিনী নিয়ে জট রয়েই গিয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যের সব বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। তবে শুক্রবার রাজীব সিনহা এ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। এদিকে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষেত্রেই বা কী হবে, সেটাও এখনও অস্পষ্ট।