সাত সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ। এরপর চারদিকে শুধুই শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে ওই বাড়ির আশেপাশে। সরকারিভাবে সাতজনের মৃত্যুর খবর এখনও অবধি সামনে এসেছে। এদিকে রবিবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই দত্তপুকুরে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব।’ এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি।
এদিকে রাজ্যপাল যখন অকুস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁদের অভিযোগের কথা জানান। তাঁরা এও জানান, যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। সঙ্গে এও জানান, এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে। এদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা আরও একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেবেন তিনি।