ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত কন্যার শুনানি

ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আর্জি। সূত্রে খবর, বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে সুকন্যার জামিনের মামলার শুনানি ছিল। এদিন সুকন্যার আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে জানান, একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া সান্যালকেও। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা আদালতে জানিয়েছিলেন, গরু পাচারের অনেকটা টাকার হিসেব নিকেশ রাখতেন তানিয়াই। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। আর এরই সূত্রে ধরে সুকন্যার আইনজীবীর প্রশ্ন, যদি তানিয়া এই মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পেতে পারেন, তাহলে সুকন্যা নয় কেন তা নিয়েই। পাশাপাশি সুকন্যার আইনজীবী এদিন এও জানান, তাঁর মক্কেলের গ্রেপ্তারি আসলে বেআইনি। কারণ ইডি শেষ যে চার্জশিট আদালতে জমা করেছে, তাতে কোথাও গরু পাচার মামলায় সুকন্যার সরাসরি যোগের কথা উল্লেখ নেই।

এদিন বিচারপতি সুকন্যার আইনজীবীর বক্তব্য শুনলেও কিন্তু তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানানো হয়, সুকন্যা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এরপরই বিচারপতি সুকন্যার জামিনের মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন। ৯ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টে ফের সুকন্যার জামিনের মামলার শুনানি। পাশাপাশি এই মামলার সঙ্গে সুকন্যার ৬ মাসের জন্য অন্তবর্তী জামিনের আবেদনও শুনবেন তিনি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ৬ মাসের অন্তবর্তী জামিনের আর্জি জানিয়ে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন সুকন্যা। জানিয়েছেন, তাঁর আর্থিক টানাপোড়েন চলছে। পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পরিচিতরা কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে মামলা লড়ার জন্য আইনজীবীদের টাকাও দিতে পারছেন না সুকন্যা। জেলে থেকে আয়ের কোনও উৎসও নেই তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সেই আবেদনেরও শুনানি ১০ জুলাই। এরই প্রেক্ষিতে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ সুকন্যার আর্জি শুনে, তার প্রেক্ষিতে ইডি-র কী বক্তব্য, তা জানতে চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছেন সুকন্যা। ইডি প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে আদালতে সওয়াল করে। ইডি-র বক্তব্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের আয় করা কাল টাকা সাদা করার দায়িত্ব ছিল সুকন্যারই। তাঁর নামে হিসাব বহির্ভূত বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সে বিষয়ে তথ্য প্রমাণও রয়েছে তদন্তকারীদের হাতে। তাতে বারবারই খারিজ হয়েছে জামিনের আর্জি। এবার দিল্লি হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত সুকন্যার আর্জিতে সাড়া দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =

preload imagepreload image