জোড়াফুল শিবিরে মুখপাত্রের পর এবার প্যানেলিস্টদের তালিকাও চূড়ান্ত করে ফেলল দল। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপানউতোর। টিভি প্যানেলিস্টের ১২ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে অনেক পুরনো মুখ। নতুন তালিকায় জায়গা পেয়েছেন জয়া দত্ত, মোশারফ হোসেন, সন্দীপন সাহারা। আগে থেকেই ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্যের মতো নেতারা। তবে এবারে এই তালিকায় নাম নেই অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, সুদীপ রাহা, কোহিনুর মজুমদারের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে, বাদ পড়া প্রত্যেকেই ‘অভিষেকপন্থী’ বলে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, সোমবার কালীঘাটে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে আবার ঠিক হয়েছে এখন থেকে আর সব বিষয়ে কথা বলবেন না তৃণমূলের মুখপাত্ররা। থাকছে নির্দিষ্ট ভাগ। ঠিক হয়েছে এখন থেকে শুধুমাত্র দিল্লির রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সুস্মিতা দেবেরা। অন্যদিকে অর্থনীতির বিষয়ে কথা বলবেন, অমিত মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প বিষয়ক মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকছেন, শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে বলবেন গৌতম দেব, উদয়ন গুহ, প্রকাশ চিক বরাইক। বিধানসভা সংক্রান্ত ইস্যুতে জনসমক্ষে কথা বলতে দেখা যাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, মানস ভুঁইঞা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা ও সুমন কাঞ্জিলালদের। চা বাগানের বিষয়ে কথা বলবেন শুধু মলয় ঘটক।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে রদবদলের কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তারপর থেকে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়ে যায়। এরইমধ্যে এবার নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়েও চাপানউতোর তৈরি হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। মুখপাত্রদের তালিকা বদলে সেই চাপানউতোর যেন আরও তীব্র হয়েছে। ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর আবার বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন। তাঁর মতে, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। তাঁর নিশানায় দলেরই কিছু প্রবীণ নেতা। দলের অন্দরে ‘অস্বস্তি’ তৈরি হতেই তাঁকে শোকজও করেছে দল।