চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিক্রি, বদলি, টুকলি-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে আগেই। সামনে এসেছে থ্রেট কালচারের ঘটনাও। এরই ভিত্তিতে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন চিকিৎসক অর্চিস্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী। হস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিও হয়।

শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট  জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের হলফনামা তলবও করেন প্রধান বিচারপতি। এরা পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের এক প্রিন্সিপালের রিপোর্টেও এই থ্রেট কালচারের উল্লেখ রয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।’

রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিস্থিতি বলতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তাঁকে তাঁর বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছে। আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তিনি পিপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান।’ এই গোটা ঘটনায় যে বিস্মিত প্রধান বিচারপতি তাও এদিন তিনি লোকাননি। এই প্রসঙ্গে এও মন্তব্য করেন, ‘হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন ভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।’

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। প্রভাবশালী একাধিক ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে, চাপ তৈরি করে বেনিয়ম করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সরব হয় বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনগুলোও। প্রসঙ্গত, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এরপরই  হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশও দিতে দেখা যায় তাঁকে. ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে বিস্তর সওয়াল জবাবও হয়। এবার হাইকোর্টও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − seven =