মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। সেই একই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন দুই সিপিএম কর্মী। এদিকে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে সব সমস্যা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, নির্বাচন কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন। তারপর মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করবেন আদালতে। কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলায় দুজন প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। একজন ডায়মণ্ড হারবারের, অন্যজন বাদুড়িয়ার। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানানোহয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
এদিকে এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন হাইকোর্টে এ অভিযোগও করেন, আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও মামলাকারীদের বক্তব্য শোনা হয়নি। কিসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হল, তা জানতে চাননি কেউ। আইনজীবী আরও জানান, শুধুমাত্র বিডিও একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল করে মামলাকারীদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। অন্যদিকে, আদালতে এ ব্যাপারে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরপরই সমগ্র ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টকে।
এদিকে সূত্রে খবর, কমিশনের তরফে আদালতে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে যে তিনজন স্পেশাল সেক্রেটারি পদ মর্যাদার আধিকারিক সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিয়ো দেখেছেন তাঁরা। তবে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে, এমন কোনও বিষয় চোখে পড়েনি বলেই দাবি করা হয়েছে।