২০২৩-এর জুলাই মাসের অর্ধেকের বেশি কেটে গেছে। অর্থাৎ আষাঢ় শেষ হয়ে দিন এগিয়েছে শ্রাবণের দিকে। তবুও কলকাতা আর দক্ষিণবঙ্গের কোথায়ই তেমন হয়নি বৃষ্টি। তবুও আগামীতে বৃষ্টির সঙেগে মোকাবিলা করতে তৈরি পুরসভা। কারণ, বৃষ্টি হলেই কোথায় কোমর পর্যন্ত জল, কোথাও হাঁটু অবধি জল। তবে এবছর এই ছবি বদলাতে চলেছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান,’কলকাতায় জল জমার সমস্যার সমাধান করতে আগেভাগেই কাজ চলছে।’ এদিকে উত্তর কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের পাশে পরেশনাথ মন্দিরে জল জমার সমস্যা প্রায় ৭০ বছরের পুরনো। ওই এলাকায় জল জমার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাম্পিং স্টেশন থেকে ওই অঞ্চলে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। এবছর বৃষ্টি হলে ওখানে জল জমবে না।
শুধু পরেশনাথ মন্দির নয়, গোটা শহর জুড়েই চলছে পুরসভার কাজ। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) এও বলেন, কলকাতায় জল জমায় বিখ্যাত আর্মহাস্ট স্ট্রিটের ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির জল জমার সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। ওখানে যে পাম্প সিস্টেম কাজ করছে। পাশাপাশি এও জানান, ওখানকার পাম্পিং সিস্টেমে কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে। সামনের বছর থেকে সেটুকুও আর থাকবে না বলে জানান তিনি।
পুরসভা সূত্রে খবর, জল জমার সমস্যা রয়েছে যেসব জায়গায় সেই রাস্তাগুলির ড্রেনেজ সিস্টেম পরিষ্কার করা হচ্ছে। উল্টোডাঙা, খান্না, মানিকতলা, হাতিবাগান সহ ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে পলি তোলার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। উত্তর কলকাতার সহ দক্ষিণ কলকাতারও ম্যানহোল এবং গালিপিটগুলি খুলে সাফ করার কাজ চালাচ্ছেন নিকাশি বিভাগের কর্মীরা। এতে ব্যবহার হচ্ছে পুরসভার কেনা অত্যাধুনিক মেশিন। এরই পাশাপাশি বাগজোলা, কেষ্টপুর, বেঘর, মানিখালি, টালি নালা খালের মতো বেশ কয়েকটি বড় খালের ড্রেজিং করা নিয়ে ভাবনা রয়েছে পুরসভার।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো এলেই বৃষ্টির তোড় বাড়ে কলকাতায়। বৃষ্টি হলেও যাতে কলকাতাবাসীর কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুত পুরসভা। অতিভারী বৃষ্টি না হলে জল জমার সমস্যা শহরে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং। জল জমলেও তা নেমে যাবে দ্রুত বলে আশ্বাস তাঁর।