জিরের দাম এবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে

সবজির পর এবার আগুন লাগবে মশলার দামেও। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে জিরার দাম। এক বছর আগের সঙ্গেও তুলনা করা হয়, সেক্ষেত্রে দেখা যাবে এর খুচরো মূল্য গত মাসে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এই মশলার দাম বৃদ্ধির কারণও খোলসা করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় কমেছে মশলার উৎপাদন। এরফলেই দাম বেড়েছে মশলার। সঙ্গে এও জানাচ্ছেন, জিরার দামে এই মুহূর্তে কোনও স্বস্তির সম্ভাবনাও নেই। কারণ, জিরা এমন একটি ফসল যা বছরে একবার মাত্র উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে আবার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জিরার উৎপাদন নষ্ট হয়েছে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায়।

২০২৩ সালের জানুয়ারির পরে মশলার দাম একটু কমেছিল। তখন বার্ষিক ভিত্তিতে মশলার দামে ২১ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধরা পড়েছিল। তবে জুন থেকে আবারও বেড়েছে মশলার দাম। ন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের শুরু থেকেই জিরার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গুজরাতের মেহসানা জেলার বাজারে জিরার দাম প্রতি কুইন্টাল ৫০ হাজার টাকার উপরে ছিল। জুলাইতে এসে সেই দাম বেড়ে হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৬০ হাজার টাকা। পাশাপাশি সরকারি তথ্য বলছে, দেশে জিরার উৎপাদনও হু হু করেই কমছে। ২০১৯-২০ সালে জিরা উৎপাদন হয়েছিল ৯.১২ লাখ টন, ২০২০-২১  সালে তা কমে হয় ৭.৯৫ লক্ষ টন। ২০২১-২২ সালে এই পরিমাণ নেমে এসেছে ৭.২৫ লাখ টনে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী মরশুমেও জিরার উৎপাদন কম হতে পারে। কারণ, জুন মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গুজরাত ও রাজস্থানে ফসল নষ্ট হয়েছে। এই দুটি রাজ্য একত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ জিরা উৎপাদিত করে। কিন্তু ফসল নষ্ট হওয়ায় সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এরফলে দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eleven =