মাঝে বৃষ্টিতে স্বস্তি দিলেও ফের বাড়ছে তাপমাত্রা, এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শনিবারও শহরে গুমোট গরমের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহরে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও ছিল ভ্যাপসা গরমও। শনিবারও বিশেষ হাওয়া বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিন সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা। কলকাতার কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি এবং শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৭ শতাংশ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা গোটা রাজ্যেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, বীরভূমে বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে রোদও থাকবে আগামী কয়েক দিন। সঙ্গে রাজ্যের তাপমাত্রা বাড়বে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩ তারিখ অর্থাৎ সোমবার সেভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে যাচ্ছে। আর এই কারণে আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
একইসঙ্গে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, শহরে জুন মাসে ৩৮ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। যেহেতু চলতি বছর অপেক্ষকৃত দেরিতে প্রবেশ করেছে বর্ষা এবং অন্যান্য সময়ের থেকে কম নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেই কারণেই বৃষ্টির এই ঘাটতি বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর জুন মাসে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৫৯ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস জানান, ‘বঙ্গোপসাগরে চলতি বছর অপেক্ষাকৃত কম নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে অনেক দেরিতে রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আর এই দুই কারণের জন্য জুন মাসে রাজ্যে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।‘ উল্লেখ্য, ২০১৮, ২০২১ সালে ১১ জুন রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এই বছর ২০ জুন মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে।