শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলায় দায়রা আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নিহতের স্ত্রী

খড়গপুরের শ্রীনু নাইডু খুনে দায়রা আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করলেন নিহতের স্ত্রী। শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলায় খড়গপুরের একদা ত্রাস বাসব রামবাবু মূল অভিযুক্ত হলেও দায়রা আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।  আদালত সূত্রে খবর,শ্রীনু লাইডুর স্ত্রীয়ের এই আর্জি বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশের ডিভিশন বেঞ্চে গৃহীত হয়। ২০১৭-র ১১ জানুয়ারি খড়গপুরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় খুন হন শ্রীনু নাইডু ও তাঁর সঙ্গী ধরমা রাও।  এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ১৩ জনকে। এদিকে এই মামলাতেই গত ২৭ জুন মেদিনীপুরের দায়রা আদালত বেকসুর খালাস করে রামবাবু-সহ অভিযুক্তদের। দীর্ঘ ৫ বছর পর শেষ হয় শ্রীনু নাইডু খুনের বিচার প্রক্রিয়া। খালাস পান শ্রীনু খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বাসব রামবাবু-সহ ১৩ অভিযুক্ত। ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়গপুরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন শ্রীনু নাইডু। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ডান হাত ধর্মা রাও। জখম হন আরও ৩ জন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরই ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের তানুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসব রামবাবুকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়ে মেদিনীপুর আদালতে। খড়গপুরের রেল মাফিয়া বাসব রামবাবু সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় এই মামলায়। দীর্ঘদিন ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে মঙ্গলবার রায় জানায় মেদিনীপুর আদালত। আদালত সূত্রে জানানো হয়, বেনিফিট অফ ডাউটস-এ খড়গপুরের গ্যাংস্টার শ্রীনু নাইডু খুনে অভিযুক্ত রাম বাবু-সহ ১৩ জনকে বেকসুর খালাসের এই নির্দেশ দেয়মেদিনীপুর আদালতের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক। এদিকে রায় অপ্রত্যাশিত বলে দাবি করেন মামলার স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সমর কুমার লাইক। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন উচ্চ আদালতে নতুন করে আবেদন করা হবে। পাশাপাশি সরকারি আইনজীবী সমর কুমার লাইক এও জানান, ‘এই মামলায় যেসব তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাতে হাইকোর্ট বলেছে এই খুনে রামবাবুর ভূমিকা রয়েছে। তারপরেও খালাস দেওয়া হল। আমি বলব বিচারক বায়াসড হয়ে এই রায় দিয়েছেন। এনিয়ে আপিল হবেই। এসপির সঙ্গে কথা বলেছি।’ সঙ্গে এও জানান,’বিচারক শুধু বললেন বেনিফিট অব ডাউটে সবাই খালাস। সাক্ষীরা এসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে, অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে যাবে। অপ্রত্যাশিত রায়। যারা গুলি খেয়েছিলেন,যাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা এসে আদালতে বলে গিয়েছেন। শ্রীনু নাইডুর স্ত্রীও সাক্ষী দিয়ে গিয়েছেন। তার পরও এই রায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − sixteen =