শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় সিপিএম নেতা দাশগুপ্তকে। অভিযোগ, চিকিৎসকদের উপর হামলার চক্রান্ত নিয়ে যে অডিও সামনে এসেছে তার কথোপকথনে শোনা গিয়েছে কলতানের কন্ঠস্বর। শুক্রবার রাতে সঞ্জীব দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এই অডিয়োর সত্যতা নিয়ে যে কোনও সংশয় নেই, তেমনটাই জানাল বিধাননগর পুলিশ। দুজনকে গ্রেফতার করার পর শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার।
এদিন এই অডিও টেপ সম্পর্কে পুলিশকর্তা জানান, গোপন সূত্রে আমরা একটি অডিয়ো ক্লিপ পাই। কথোপকথন শুনি। যাঁদের গলা সেখানে শোনা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন সঞ্জীব দাস ও দ্বিতীয় ব্যক্তি সিপিএমের রাজ্য কমিটির যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পুলিশের টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস উইং ও ইনভেস্টিগেটিভ উইং একসঙ্গে অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেছে। তবে পুলিশ অফিসারের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে অডিয়োর সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
ডিসি অনীশ সরকার আরও জানান, সঞ্জীব দাস স্বীকার করেছেন যে গলাটা ওঁর ছিল। আপাতত তাঁদের দুজনকে আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশের তরফে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হবে। পরে ধৃতদের ভয়েস স্যাম্পল নিয়ে তদন্ত করা হবে।
ওই অডিয়োতে সাহেব, দাদু ও বাপ্পা নামে তিনজনের কথা উল্লেখ করা হ হয়েছে। এরা কারা, তা খতিয়ে দেখা হবে পুলিশের তরফে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩, ৩৫১ ও ৬১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।