মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় কড়া পঞ্চায়েত স্তরে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েই ফেলল তৃণমূল। কারণ, দলের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি একাধিক তৃণমূল নেতা। এরপরই একাধিক জেলা মিলিয়ে প্রায় ৫৬ জনকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেসের হাই কমান্ড। এর মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে নদিয়ে আর মেদিনীপুর। তৃণমূল সূত্রে খবর, নদিয়ার ২১ জন এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ১৭ জনকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে চলেছে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল, দলীয় টিকিট না পেয়ে যারা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। প্রয়োজনে বহিষ্কার করা হবে দল থেকে। এর আগে সাগরদিঘি ব্লকের চার জনকে সাসপেন্ড করাও হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে।
পঞ্চায়েত ভোটের ইনচার্জ হিসাবে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান,’কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তাদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান, নির্দলের সংখ্যা ১২০ থেকে ১২৫ জন কিন্তু অনেকেই জেলা নেতৃত্বকে বলছেন এখন তাঁরা তৃণমূলের প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। তমলুক সাংগঠনিক জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৬৬টি জেলা পরিষদের আসন। ৭৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১১ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।‘ ফলে হুঁশিয়ারির পরও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘নির্দল কাঁটা’ রয়েই গেল তৃণমূলের।