পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে উত্তাপ ছড়িয়েছে বঙ্গে তার আঁচ পড়ল এবার দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহতেও। অভিযোগ, তৃণমূলের যুব নেতা অরিত্র ঘোষ ওরফে বুম্বাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরনোর পর তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দৃষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলেরই আর এক নেতা জয়ন্ত সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা কি না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অরিত্র ঘোষ নামে ওই যুব নেতা এদিন ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রথমে দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ওই যুবনেতাকে লোহার রড দিয়ে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অরিত্রকে ভর্তি করা হয়েছে এক বেসরকারি হাসপাতালে।
এদিনের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে নাকি তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। এদিকে আহত যুবনেতা জানান, ‘আমার পা ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়।’ সঙ্গে এও জানান, তিনি আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে তুলে নিয়ে যায় হাসপাতালে। এই ঘটনায় তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীরা সবাই জয়ন্ত সিং ও রাজু ঘোষের লোক। রাজু ঘোষ একজন ব্যবসায়ী। তাঁর কথাতেই সবকিছু হয়েছে বলে মনে করেন অরিত্র।
এদিকে এই ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে। তিনি জানান, ‘আড়িয়াদহে গুলি, আক্রান্ত থেকে হামলাকারী-সবাই তৃণমূলের।’ সঙ্গে এও জানান, ‘কয়েকজন ঠিকাদারের জন্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে ভাল ছেলেরা।’ একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘বেলঘরিয়া একমাত্র থানা, যেখানে ৪ বছর ধরে একজন আইসি’। অর্থাৎ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক।