পাঁচ দিনে ৩৯৫ কোটি টাকার ব্যবসা করলেও গত ১৬ জুন মুক্তির দিন থেকেই ‘আদিপুরুষ’ তীব্র সমালোচনার মুখে। ডায়ালগ, চিত্রনাট্য থেকে উপস্থাপনা, ওম রাউত পরিচালিত ছবির সবকিছু নিয়েই অসন্তুষ্ট আমজনতা। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শক্তিমান খ্যাত মুকেশ খান্না। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘আমি আদিপুরুষ ছবির বিরোধিতা করতে বাধ্য হচ্ছি। জঘন্য ছবি বানানো হচ্ছে। রামায়ণকে বিকৃত করা হচ্ছে।’ এরপরই তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চান, ‘এরপর লোকে প্রতিবাদ করলে বলা হবে না করতে?’ একইসঙ্গে মুকেশের সংযোজন, ‘যা হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা তো উচিত। আমার তো মনে হয়, আদিপুরুষ ছবির গোটা টিমকে ৫০ ডিগ্রি উত্তাপের মধ্যে পুড়িয়ে মারা উচিত। এখনও যদি লোকে প্রতিবাদ না করে তাহলে ভাবব ১০০ কোটি হিন্দু এখনও জাগেনি।’ এরই রেশ ধরে ছবির চিত্রনাট্যকার মনোজ মুন্তাশির প্রসঙ্গে মুকেশ বললেন, ‘অনেকে বলছেন উনি ভালো চিত্রনাট্য লেখেন। তবে আমি কোনওদিন ওঁর নাম শুনিনি। কাজও দেখিনি। তবে আজকাল উনি যেসব যুক্তি দিচ্ছেন, সেসব বড্ড বোকা বোকা।’
এদিকে আদিপুরুষ নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেছে চিত্রনাট্যকার মনোজ মুন্তাশিরকে। হনুমানের ডায়ালগ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠার পর চিত্রনাট্যকার দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও ভুল করেননি। সঙ্গে এও বলেন, ‘বচন পরম্পরায় রামায়ণের গল্প শুনে আসছি আমরা। দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কায়দায় এই কাহিনীবলা হয়। আমি যে ছোট গ্রামে থাকতাম, সেই গ্রামে এই ভাষাতেই রামায়ণ শুনেছি। তাই সেই ভাষাই ব্যবহার করেছি।’ পরে তিনি অন্য এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হনুমান ঈশ্বর নন। উনি ঈশ্বরের ভক্ত ছিলেন। আমরা সকলে মিলে তাঁকে ভগবান বানিয়ে ফেলেছি। মাথায় রাখতে হবে, আসলে উনি ভক্ত। তাই রামচন্দ্রের মতো দার্শনিক কথাবার্তা উনি বলতে পারেন না।’ ওই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলার মাঝেই মনোজ ফের বলেন, ‘বাল্মীকি, তুলসীদাস, রামানন্দ সাগরের রামায়ণের ভার্সন সম্পর্কে ধারণা আছে আপনাদের। আদিপুরুষ আমার নিজস্ব ভার্সন।’
এদিকে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠায় হনুমানের ডায়ালগ পালটে দিয়েছে টিম আদিপুরুষ। ‘টাপোরি’ স্টাইলে আর কথা বলছেন না হমুনানজী। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।