‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার কারণেই কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে।‘ ভোটে পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকা নিয়ে পাল্টা কেন্দ্রকেই এভাবেই বিঁধলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিএসএফের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার দাবি, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যা বলছে ঠিক নয়। আমরা স্পর্শকাতর বুথের তথ্য জানিয়েছিলাম।‘ এরই রেশ ধরে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘ওরা না জানলে স্পর্শকাতর বুথে গেলেন কীভাবে?’ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব সিনহা এও জানান, ‘রাজ্যের মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’ প্রসঙ্গত, শনিবার নির্বাচন শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে। কেন্দ্রীয়বাহিনীর তরফ থেকে বিএসএফ-এর ইন্টার্ন কমান্ডের দায়িত্ব থাকা আইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক দাবি করেন, স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় চেয়েও কমিশনের কাছে তা পাওয়া যায়নি। এরপরই মঙ্গলবার বিএসএফের দাবি উড়িয়ে রাজীব সিনহা জানান, ‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’
কমিশনার এদিন জানান, জেলা থেকে কমিশনের কাছে তথ্য আসছিল না কিছুক্ষণের জন্য। কারণ, প্রায় ১৫ মিনিট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে লোডশেডিং ছিল। ১৫ মিনিট বিদ্যুৎহীন থাকার পর আবার সচল হয় কমিশন। কমিশনারের দাবি, কমিশন হিসাবে গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তারা দায়বদ্ধ। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনাও হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ।