শনিবার সকালে আচমকা জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিক সহানুভূতির সঙ্গে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আজ আমি আসিনি। এসেছি আপনাদের দিদি হিসাবে।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘আমার পোস্ট বড় কথা নয়। মানুষের পোস্ট বড় কথা। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে যেন ফাঁসির অর্ডার দেওয়া হয়।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই উপস্থিতির পরও আন্দোলনকারীরা এখনই আন্দোলন থেকে পিছপা হতে তাঁরা নারাজ। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আন্দোলনের যে স্পিরিট নিয়ে চলছিল তা নিয়েই চলবে। আমরা আমাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। দ্রুত কাজেও ফিরতে চাই। আমরা কোনও অন্যায় দাবি করছি না। এই দাবি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। এই ৫ দফা নিয়ে আমরা কোনওরকম সমঝোতায় যেতে এখনও রাজি নয়।’ একইসঙ্গে এও জানানো হয়, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা নিজেরা আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী জানাব। আমরা সবসময় চাই আলোচনা করতে। কারণ আমরা চাই এই সমস্যার সুস্থ সমাধান হোক।’ এর পাশাপাশি অপর এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভূমিকা হিসাবে দেখছি। ওয়েলকাম জানাচ্ছি। কিন্তু ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, আলোচনার সদিচ্ছা জানাচ্ছেন। আমরা সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা অচলাবস্থা কাটাতে চাই। আমরা চাই এক্ষুনি উনি আলোচনার টেবিলে বসুন। মিডিয়ার সামনেই সব হোক। আমরা চাই আমাদের দাবি উনি মেনে নিন।’
কেউ কেউ আবার বলেন, আগে আমরা নিজেরা আলোচনা করি। তারপর মিডিয়াকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। যদিও শেষে আর এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘আমরা দিদি হিসাবে মমতাকে চাইনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি আসুন। কারণ দিদির থেকে তো মুখ্যমন্ত্রীর পদ বড়। আর আলোচনা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আমরা অনড়।’