কলকাতার একটা বড় অংশ রয়েছেন যাঁরা অকারণেই ভোগেন রাস্তার কুকুরদের থেকে। আর এই ভয়কে লুকাতে গিয়ে তাঁরা যে বীরপুঙ্গব বা শক্তি স্বরূপিনী দুর্গা তা প্রমাণ করতে সামনে আনেন কুকুরদের রাস্তা নোংরা করার ঘটনা। এই ইস্যুতে সাম্প্রতিক অতীতে এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। পশুসেবা করতে গিয়ে পশুপ্রেমীদের হেনস্তা নতুন কিছু নয়। পোষ্য়সুদ্ধ গোটা বাড়িকে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ যেমন উঠেছে তেমনই হাড়হিম করে দিয়েছে এনআরএস কাণ্ড। আবার তেমনই এক অমানবিকতার নজির। স্থান খোদ দক্ষিণ কলকাতা।
সূত্রে খবর, গত শনিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ ১/৩৬ আজাদগড়ের বাসিন্দা অঙ্কিতা সিকদার অভ্য়াসবশতই রাস্তার সারমেয়দের খাওয়াচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই প্রতিবেশীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এরপর সমগ্র ঘটনা জানানো হয় গল্ফগ্রিন থানায়। আর এই প্রতিবেশীদের মারধরের জেরে অঙ্কিতা সিকদারকে এম আর বাঙ্গুরে যেতে হয়।
এদিকে এই ঘটনায় অঙ্কিতার বক্তব্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার কুকুদের খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে হুমকি এসেছে। তবে এখানেই শেষ নয়। এরপরেও থামেনি হেনস্তা। তবে শনিবার আরর মৌখিক আপত্তি নয়, তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ ও মারধর করা হয়। সেদিন রাতেই পাড়ার ৭ মহিলার নামে গল্ফগ্রিন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চাইছেন তরুণী। পুরো ঘটনা নিজের সোশ্য়াল মিডিয়াতেও জানিয়েছেন অঙ্কিতা। তবে গল্ফগ্রিণ থানা থেকে এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি তারা এই সাত মহিলার বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছেন। উত্তর মেলেনি ওই রমনী বাহিনীর কাছ থেকে শুধু কী রাস্তা নোংরা করার কারণেই এই আক্রমণ না নিজেদের ভীরুতাকে ঢাকতে এমন রণরঙ্গিনী মূর্তি ধারন করেছিলেন তাঁরা!