মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগের মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞামের ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে নির্দেশ দিলেন, ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে কমিশনকে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে যে মামলা করেন শুভেন্দু, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ প্রকল্পে রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে বলে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলাকারী র অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, ওই ফোন নম্বর ১৫ জুন প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলাকারীর আরও অভিযোগ ছিল, রাজ্য পুলিশের আইজি বেশ কয়েকজন অফিসারকে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর বদলি করেছেন। এমন সিদ্ধান্ত নির্বাচন বিধি লংঘন করে। সেক্ষেত্রে কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানান, ২৪ জুন ওই সমস্ত বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে আইজি বিএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
পাশাপাশি জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ আনেন মামলাকারী । তাতে কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলাশাসক রিপোর্ট দিয়েছেন, ভিক্ষাজীবীদের ভিক্ষা দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। জেলাশাসকের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগ সঠিক নয়।
এদিকে শুভেন্দুর আরও অভিযোগ ছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। তা নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পূর্ব মেদিনীপুরের একটা অংশ স্পর্শকাতর। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন কমিশনকে। বক্তব্য শোনার পর কমিশনকে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। মামলাকারী আর্জি জানান, পূর্ব মেদিনীপুরকে সরাসরি আইজি বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। তবে এই আবেদনেও কার্যত খারিজ হয় আদালতে।