৫ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে ২ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতের

পাঁচ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিলেন ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতের বিচারক। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ফাগুন মান্ডি ওরফে পুই এবং ভাকু ওরফে রবীন্দ্র রাউতকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৩৭৬ ডি বি, ৩০২, ২০১, ৩৪ এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়। এরপর ওই মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানা এলাকায় এক নাবালিকা নিখোঁজের পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে গ্রামেরই একটি জঙ্গলের পাশে নালা থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ নভেম্বর ফাগুন এবং রবীন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।

রাজ্য পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়, ফাগুন পেশায় রাজমিস্ত্রি। রবীন্দ্র ছিলেন শ্রমিক। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে এও জানা যায়, নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ফাগুন নামে ওই যুবক। তার পর দু’জনে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করেন। এরপর ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পকসো আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। অবশেষে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হলে বুধবার দু’জনকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

বুধবার এই প্রসঙ্গে পকসো কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শুভাশিস দ্বিবেদী জানান, ‘নাবালিকাকে অপহরণ করে খুন এবং ধর্ষণের মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন পকসো আদালতের বিচারক। এই ঘটনায় ২০২২ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জ গঠন হয়। ওই বছরের ৬ জুন থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। চিকিৎসক, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট-সহ ৩০ জন সাক্ষ্য দেন। এর পর মঙ্গলবার দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 11 =