বাহিনী থাকায় স্কুল খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা, মামলা ফাইল হাইকোর্টে

গত প্রায় আড়াই মাস ধরে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। এরপর ৪ জুন হয় ফল ঘোষণা। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহুদিন বন্ধ রাখতে হয়েছে স্কুল। তবে ছুটি কাটার পরেও রাজ্যের বহু স্কুল খোলার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নয়া সমস্যা। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এখনও রয়েছেন স্কুলে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী ও অয়ন পোদ্দার। অবিলম্বে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী বুধবার এই আবেদন শুনবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুসারে, ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত স্কুলগুলিতে ছিল গরমের ছুটি। এদিকে তীব্র  তাপ প্রবাহের জন্য ২২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছিল ছুটি। যেহেতু ভোট মিটে যাওয়ার পরও বাহিনী থাকছিল সেই কারণে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। এদিকে ২৭ মে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে ১০ জুন থেকে চালু হবে স্কুল। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ৩ তারিখ থেকে স্কুলে যেতে শুরু করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সোমবার খুলেছে স্কুল।

প্রসঙ্গত, লোকসভায় রাজ্যে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলায় কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। তার মেয়াদ ১৯ জুন। ভোটের পর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় স্কুলগুলিতে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্কুল শুরু করার ক্ষেত্রে সমস্য়ার কথা সামনে এসেছে।
বাহিনীগুলির ক্যাম্পের জন্য মূলত ব্যবহার করা হয় এই স্কুলগুলিকে। যে নির্দিষ্ট এলাকায় ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা থাকেন তার আশেপাশের এলাকার স্কুলগুলিতে করা হয় ক্যাম্প। এখন দেখার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − five =