এফআইআর নিতে বিলম্ব, প্রশ্নের মুখে এন্টালি থানার ভূমিকা

বাড়িতে অসুস্থ মা তাই বাড়ির সামনে বাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন এক যুবক। আর সেই ঘটনায়  বেধড়ক মারধর করা হয় ওই প্রতিবাদী যুবককে। এন্টালি থানার অন্তর্গত আনন্দ পালিত রোড এবং ছাতুবাগান লেন সংযোগস্থলে ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ। সায়ন কুণ্ডু এবং তাঁর বাবা সুশীল কুণ্ডু বাড়ির সামনে বাজি ফাটানো নিয়ে এলাকার কিছু ছেলের সঙ্গে বচসা হয় বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, তারপরই তাঁদের উপর এলাকার ২০ থেকে ৩০ জন যুবকের একটি দল চড়াও হয় সায়নের ওপর। এরপর চলে বেধড়ক মারধর।

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় সায়নকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন পরিবারের লোকজন। তারপরই সোজা চলে যান এন্টালি থানায়। যদিও এক্ষেত্রে আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সায়ন ও তাঁর বাবার দাবি, শুরুতে তাঁদের অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। অভিযুক্তদের ডেকে মিটমাট করে নেওয়ারনিদানদেন পুলিশ কর্মীরা। সায়ন জানাচ্ছেন, তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন দেখে ফের তাঁদের ডাকা হয় থানায়। তারপরই নেওয়া হয় এফআইআর। শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। 

সায়ন বলছেন, ‘পুলিশ আমাদের সেটলমেন্টের কথা বলেছিল। যে ছেলেটার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তাঁকে বসিয়ে কথা বলার কথা বলছিল। কিন্তু, আমার বাবা বলে আমরা কোনও কথাবার্তা বলব না। অভিযোগ দায়ের করব। তারপর আমাদের একটা স্লিপ দেয়। আমরা বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেখে ফের আমাদের ডাকে।’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − four =