টাকা দিয়েও ফ্ল্যাটের মালিকানা না পাওয়ার রাগে খুন হলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার একবালপুর। সেখান থেকে ডি মারিয়ান নামে এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ওই বৃদ্ধর দেহ ময়নাতদন্তের পরই জানা যায়, গলা টিপে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই খুনের পিছনে কে আছে, তা তদন্ত শুরু হয় একবালপুর থানার তরফ থেকে। তদন্তকারীদের প্রথমেই সন্দেহ হয়, ওই বৃদ্ধের সঙ্গিনী শেখ শর্বরীর দিকে। তবে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কারণ, বৃদ্ধের ডি মারিয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই একবালপুরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এরপর শনিবার পুলিশ তাকে টানা জেরা করে। দীর্ঘ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেন শেখ শর্বরী। পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে, ডি মারিয়ানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয় শর্বরীর। একবালপুরে মারিয়ানের ফ্ল্যাট কিনতে চায় সে। সেইজন্য ১৫ লাখ টাকা আগাম দেওয়ার প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু বৃদ্ধ সেই প্রস্তাব মানেননি। এমনকী ১৫ লাখ টাকা ফেরতও দেননি। দীর্ঘ পুলিশ জেরায় শর্বরী স্বীকার করে নেয়, ডি মারিয়ানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয় শর্বরীর। একবালপুরে মারিয়ানের ফ্ল্যাট কিনতে চায় সে। সেইজন্য ১৫ লাখ টাকা আগাম দেওয়ার প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু বৃদ্ধ সেই প্রস্তাব মানেননি। এমনকী ১৫ লাখ টাকা ফেরতও দেননিএখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। টাকা না ফেরৎ পাওয়ার কারণেই রাগে সে মারিয়ানকে গলা টিপে খুন করেছেন। এই স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে শর্বরীকে। তাকে জেরা করে আরও দু’জনের নাম জানতে পারে পুলিশ। এর হলেন শর্বরীর-ই দুই সঙ্গী মহম্মদ তারিক ও কালু দাস যারা ডি মারিয়ানের খুনে শর্বরীকে সাহায্য করেছিল। এরপরই পুলিশ এই মহম্মদ তারিক ও কালু দাসকেও গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জেরা করে আরও কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা তারই চেষ্টা করছে পুলিশ।