স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে

যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এবার রং লাগতে চলেছে রাজনীতির। বিজেপির তরফে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। কারণ, প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মৃত্যুর পিছনের কারণ কি সত্যিই র‌্যাগিং না অন্য কোনও ঘটনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার পিছনে ব়্যাগিং রয়েছে বলেই আঁচ করছেন অধিকাংশই। এবার সেই র‌্যাগিং-এর অভিযোগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে অবগত করল বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেড। সঙ্গে এ অভিযোগও আনা হল যে, র‌্যাগিং-এর গাইডলাইন না মানা হচ্ছে না। এই সব বিষয় খতিয়ে দেখে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর দাবি, প্রয়োজনে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করুক।

প্রসঙ্গত, নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাদ থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। কিন্তু বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রের মৃত্যু যে কোনও সাধারণ ঘটনা নয়, তেমনটাই দাবি করছে তাঁর পরিবার। মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কীভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বপ্নদীপের পরিবারের সদস্যরাই। পাশাপাশি ঘটনায় র‌্যাগিং-এর অভিযোগও সামনে আনা হয়েছে পরিবারের তরফে।

এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান তাতে বলা হয়েছে, র‌্যাগিং সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হলেও, তা কার্যকর করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না। কোনও নজরদারি নেই বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, র‌্যাগিং-এর গাইডলাইন লঙ্ঘন করার অর্থ ইউজিসি-র নীতি ভঙ্গ করা। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। এই প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব আরও বলেন, ওই ছাত্রের ওপর মানসিক অত্যাচার হয়েছিল। পরিবারের তরফেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরও কেন পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফ থেকে যাদবপুর থানা ঘেরাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + fourteen =