মৌলবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি এবিভিপি-র

যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে শিক্ষামহলে যেমন ঝড় উঠেছে ঠিক তেমনই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বামপন্থী সংগঠনগুলির দাপাদাপিতে প্রাণ গিয়েছে যাদবপুরের বাংলা বিভাগের ওই পড়ুয়ার। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের সঙ্গে সুর মিলিয়েই কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন মার্ক্সবাদীদের। অন্যদিকে এসএফআইয়ের নিশানায় তৃণমূল। এরইমধ্যে ময়দানে নেমেছে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এদিকে যাদবপুরে ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাকে। চলেছে ধরনা। হচ্ছে প্রতিবাদ মিছিল। আর এরই মাঝে যাদবপুর চত্বরে এসেছিলেন খোদ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই যাদবপুরে এসেছিলেন শুভেন্দু। ফেরার পথে তাঁকে কালো পতাকা দেখায় রেভলিউশনারি স্টুডেন্টস ফ্রন্ট বা আরএসএফ নামে এক নকশালপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। আরএসএফ-বিজেপি সংঘর্ষে মুহূর্তেই বৃহস্পতিবার বিকালে তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল যাদবপুরকে। এ ঘটনায় আরএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় আবার অভিযোগও দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতা। ‘দোষীদের’ বিরুদ্ধে ইউপিএ প্রয়োগ করার কথাও জানিয়ে এসেছেন পুলিশকে। এদিকে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এদের বেশিরভাগই যাদবপুরের ‘স্বাধীন’ মঞ্চ ‘কালেকটিভের’ অংশ। শোনা যায় এই কালেকটিভের শাখা সংগঠন হিসাবে আবার কাজ করে ফরাম ফর আর্টস স্টুডেন্টস বা এফএএস ও উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর মতো সংগঠনগুলি। এবার এই দুই ছাত্র সংঠনকেই এবার ‘ব্যান’ করার দাবি তুলল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি।

অন্যদিকে এদিনই আবার যাদবপুরে নকশালপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলিকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণার ডাক দিয়েছে এবিভিপি। ২১ অগস্টের মধ্যে মাওবাদী, নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এবার এফএএস আর উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ব্যানের দাবিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।বিবৃতি জারি করে এবিভিপির তরফে লেখা হয়েছে, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এটা মেইন হস্টেলের সিনিয়রদের নৃশংস অত্যাচারের ফলে হয়েছে। তাই নবাগত ছাত্র হত্যাকাণ্ড একটি উচ্চস্তরীয় লিগ্যাল কমিশন দ্বারা তদন্ত করা হোক। পাশাপাশি উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এফএএস  সহ সমস্ত মৌলবাদী বামপন্থী সংগঠনগুলিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 1 =